প্রতিটি জনবহুল দেশেই জুতার ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে জানা যায়। আমাদের দেশেও জুতার যেমন অনেকগুলো কারখানা আছে তেমন প্রতিটি বাজারে অনেকগুলি জুতার দোকান রয়েছে। সমস্ত মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী জুতা। তাই আপনি যদি জুতার ব্যবসা শুরু করেন অবশ্যই আপনি সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন। বর্তমানের সমস্ত লাভজনক ব্যবসা গুলির মধ্য জুতার ব্যবসা অন্যতম।
আপনি যদি অনেকদিন থেকে অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই জুতার ব্যবসা আপনার জন্য আদর্শ একটি ব্যবসা। কারণ জুতার ব্যবসা করার জন্য খুব বেশি পুঁজির খরচ আপনাকে করতে হবে না। বর্তমানে জুতার বাজার কে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। একটা ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জুতো ও লোকাল নন ব্যান্ডেড কোম্পানির জুতো। তবে বর্তমান বাজারে নন-ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জুতা সংখ্যা বেশি পরিমাণে থাকে।
যেহেতু ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জুতার দাম একটু বেশি থাকে তাই সকল লোকের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হয় না। আবার নন-ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জুতো গুলো বিভিন্ন ধরনের হওয়ার জন্য এছাড়া অল্প দামে হওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষ নন ব্যান্ডেড কোম্পানির জুতো কেনেন। তাই আপনি যদি জুতার ব্যবসা শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নন-ব্র্যান্ডেড এবং ব্র্যান্ডেড দুই প্রকারের জুতোই আপনার দোকানে রাখতে হবে।
এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে সারা বছর যে পরিমাণ জুতো তৈরি হয় তার 40% বিক্রি হয় পূজার সময় এবং 20% জুতা বিক্রি হয় ঈদের সময়। বাকি 40% জুতা সারা বছরে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এই পরিসংখ্যানটা আবার উল্টো হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের নিরিখে, কারণ বাংলাদেশ ঈদের সময় বেশি পরিমাণে জুতো বিক্রি হয় আর পূজার সময় তার থেকে কম পরিমাণ এর জুতা বিক্রি হয়। তবে যাই হোক জুতার ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা। এমন কোনো ব্যবসায়ী নেয় যারা জুতার ব্যবসা করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
এছাড়াও জুতার ব্যবসা আপনার কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই আপনি করতে পারেন। কারণ আপনাকে শুধু মার্কেট থেকে পাইকারি রেটে জুতা কিনে একটি দোকান করে বসতে হবে, ব্যাস আপনি আরামসে জুতা বিক্রি করতে পারবেন। তবুও জুতা সম্পর্কে আপনার অল্প কিছু ধারনা আগে থেকে তৈরি কোরে নেওয়া দরকার আছে। কারণ যদি কোন কাস্টমার জুতা সম্পর্কে কোন কিছু প্রশ্ন করে সেটা সঠিক উত্তর আপনাকে দিতে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক জুতার ব্যবসা করতে হলে কিভাবে করবেন সেই সব পদ্ধতিগুলি।
যেহেতু জুতার ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা, তাই এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু প্ল্যানিং করতে হবে। আমাদের দেশে প্রত্যেক বছর কয়েক হাজার কোটি টাকার জুতার ব্যবসা হয়ে থাকে। তাই আপনার ব্যবসা কেউ বড় করতে হলে অবশ্যই ব্যবসাতে প্ল্যানিংয়ের প্রয়োজন আছে। আপনাকে জুতার ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বুঝে জুতা আপনার দোকানে রাখতে হবে। তাই ব্যবসার শুরুতে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন ধরনের জুতো নিয়ে ব্যবসা করবেন।
বর্তমানে ছেলেদের জন্য আলাদা জুতো,
মেয়েদের জন্য আলাদা জুতো,
আবার বাচ্চাদের জন্য আলাদা জুতো পাওয়া যায়। আপনি চাইলে শুধুমাত্র কোন একটা ক্যাটাগরী জুতো নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন আবার আপনি চাইলে সব ধরনের জুতা নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে বেশিরভাগ দোকানে সব রকমের জুতো নিয়ে ব্যবসা করছেন জুতার ব্যবসায়ীরা। আবার কিছু কিছু বড় দোকানে যারা শুধুমাত্র ছেলেদের জুতো কিংবা শুধুমাত্র মেয়েদের জুতা নিয়ে ব্যবসা করেন। তাই জুতার ব্যবসা শুরু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনি কি ধরনের জুতা নিয়ে ব্যবসা করবেন।
সেই কারণে জুতার ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে প্রথমে আপনি যে অঞ্চলে ব্যবসা করছেন সেই অঞ্চলের আশেপাশে যে সকল জুতার ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের দুর্বল অংশগুলো আপনাকে খুঁজে নিতে হবে। তারপর এমন কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে যাতে সমস্ত কাস্টমার আপনার দিকে চলে আসে। এই সমস্ত জিনিসটাই সম্ভব শুধু মাত্র আপনার মার্কেট রিসার্চ থেকে। আবার আপনার পুঁজি যেমন থাকবে আপনাকে সেই অনুযায়ী জুতার ক্রয় করে জুতার ব্যবসা করতে হবে। তবে অবশ্যই আপনাকে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জুতো এবং নন ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জুতো দোকানের রাখতেই হবে।
জুতার ব্যবসা করার জন্য আপনার খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। আপনি যদি ছোট করে জুতার ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে 50 হাজার টাকা থেকে 1 লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। আপনি যদি বড় আকারের জুতোর দোকান তৈরি করে জুতার ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে আপনার খরচ হবে 2 লক্ষ টাকা থেকে 3 লক্ষ টাকার মধ্যে। আবার আপনি যদি শুধুমাত্র ব্র্যান্ডের জুতো কালেকশন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার 2 লক্ষ টাকা খরচ হবে।
জুতার ব্যবসা করতে হলে আপনি যেমন 50 হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারছেন তেমন আবার 2-3 লাখ টাকাও খরচা হতে পারে এই ব্যবসায়। আপনার কাছে যেমন পুঁজি আছে তেমন ভাবে আপনাকে ব্যবসা করতে হবে। নির্দিষ্ট করে টাকার অংক বলা মানে আপনার চিন্তা বাড়ানো হয়ে থাকবে। কারণ এলাকায় বিবেচনায় ব্যবসার জন্য পুঁজির পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
জুতার ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে জুতোর দোকান তৈরি করে ব্যবসা করতে হবে। যে অঞ্চলে বেশি লোক যাতায়াত রয়েছে এবং জনবহুল পূর্ণ বাজার এলাকা দেখে দোকান তৈরি করতে হবে। বর্তমানে জুতার দোকান ব্যবসা করে সকল ব্যবসায়ী সফল হয়েছেন। এছাড়া জুতার দোকান তৈরি করার জন্য অবশ্যই সেই দোকানটি যেন মেইন রোডের গায়ে হয়, জুতার দোকানের আশেপাশে যেন দ্বিতীয় কোন জুতার দোকান না থাকে এরকম একটি জায়গা নির্বাচন আপনাকে করতে হবে।
যদি দোকানটা ভালো জায়গায় না হয় তাহলে কিন্তু আপনার জুতার বিক্রি অনেক কমে যাবে ফলে আপনার ক্রেতা খোঁজার ঝামেলাও থাকবে। সেই কারণে অবশ্যই জুতার দোকান তৈরি করার জন্য সুন্দর জনবহুল পূর্ণ বাজার এলাকা নির্বাচন করুন। তবে শহরাঞ্চলের দিকে জুতার ব্যবসা করতে হলে সেটা অবশ্যই রাস্তার ধারে দোকান ভাড়া নিয়ে করতে পারেন। কারণ শহরের দিকে রাস্তা দিয়ে প্রচুর সংখ্যক লোক যাতায়াত করে তাই বাজার না হলেও রাস্তার ধারে আপনি জুতার দোকান তৈরি করতে পারেন।
জুতার ব্যবসা করতে হলে জুতার দোকান আপনাকে অবশ্যই তৈরি করতে হবে। আর জুতার দোকানের আয়তন নির্ভর করবে আপনি কেমন ধরনের দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতে চলেছেন তার ওপর। বাকি অন্য ব্যবসার মতো জুতার দোকান আপনি ছোট করেও তৈরি করে ব্যবসা করতে পারেন আবার বড় করে ও জুতার দোকান তৈরি করে ব্যবসা করা যায়। সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে আপনার পুঁজি কেমন আছে তার ওপর। আপনি হয়তো পথ চলতে গেলে দেখতে পাবেন অনেক ছোটখাটো জুতোর ব্যবসায়ী যারা ছোট ছোট গুমটি তৈরি করে জুতার ব্যবসা করছেন। আপনার পুঁজি যদি অল্প থাকে তাহলে আপনি এইরকম ছোটখাটো একটি জুতোর দোকান ভাড়া নিয়ে কিংবা জুতোর দোকান তৈরি করে জুতার ব্যবসা করতে পারেন।
খুব ভালোভাবে জুতার দোকান তৈরি করে ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই সেই জুতার দোকানের আয়তন যেন 10/12 ফুটের মতো হয়ে থাকে। এছাড়া আপনি যদি আরো বড় জায়গা নিয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে ব্যবসা করতে পারেন। তবে সচরাচর আমরা যে সকল জুতার দোকান দেখে থাকি সেগুলো 10/12 ফুট এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
একটি জুতোর দোকান খোলার পর সেই দোকান টা সুন্দর করে ডেকোরেশন অবশ্যই আপনাকে করতে হবে। তা না হলে জুতার ব্যবসা আপনি বাকি অন্য ব্যবসায়ীদের থেকে ভালো করে পড়তে পারবেন না। জুতার দোকান ডেকোরেশন এর জন্য আপনাকে সামনের অংশটা কাঁচ দিয়ে করতে হবে। এবং অপর প্রান্তে জুতার সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে যাতে পথচলতি সাধারণ মানুষের নজর সেইসব জুতার প্রতি পরে। এতে করে প্রতিটা মানুষ আকর্ষিত হবে আপনার জুতার দোকানের দিকে। এবং প্রতি সপ্তাহে একবার করে জুতোর দোকানের ডিসপ্লে পরিবর্তন করতে হবে।
ডিসপ্লে বলতে কাঁচের উল্টোদিকে যেসকল জুতো আপনি সাজিয়ে রাখবেন সেই গুলোকে বলা হয়। এরপর জুতোর দোকানের ভেতর প্রতিটা যুদ্ধ আলাদা আলাদা রেখে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে যাতে কোন কাস্টমার জুতোর দোকানের ভেতর প্রবেশ করার পর একের পর এক জুতো দেখে মন মুগ্ধ হয়ে যায়। জুতোর দোকানের ভেতরে কাস্টমারের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে। চেয়ারে বসে কাস্টমার জুতো পায়ে পড়ে পছন্দ করে জুতো কিনে নিয়ে যাবে। দোকানের ভেতরে ব্র্যান্ডেড এবং নন-ব্র্যান্ডেড সকল জুতোয় সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে। যাতে কাস্টমার ব্র্যান্ডেড জুতোর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় এফবি কেউ আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্র্যান্ডের জুতো তে বেশি পরিমাণে কমিশন থাকে প্রতিটা ব্যবসায়ীর।
দোকানের ভেতরে দেওয়ালের রং আপনাকে বিশেষত সাদা করতে হবে। এতে দোকানের ভেতরে কাস্টমার প্রবেশ করলে বেশি আকৃষ্ট হবে জুতোর কালার দেখে, সাদা রং জুতোর কালারটি কে বেশি করে ফুটিয়ে তুলতে পারে। এছাড়া দোকানের ভেতরে একটি বড় সাইজের আয়না রাখতে হবে যাতে জুতো পড়ে ক্রেতা দেখতে পারে তাকে কেমন লাগছে। দোকানের বাইরে বড় করে সাইনবোর্ড তৈরি করতে হবে আপনার দোকানের নামের। এতে করে প্রতিটি গ্রাহকের পরিচিত হয়ে থাকবে আপনার দোকানটা এবং প্রত্যেকেই প্রত্যেকবার এসে আপনার দোকান থেকেই জুতো কিনে নিয়ে যাবে। এই ভাবে যদি আপনি জুতার ব্যবসা করেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন।
প্রতিটা ব্যবসার মতোই জুতার ব্যবসা শুরু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট এবং ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিতে হবে। এক কথায় বলা যেতে পারে ব্যবসার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় লাইসেন্স গুলি হল-
ট্রেড লাইসেন্স সহ বাকি সকল লাইসেন্সের জন্য আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও আপনার নিকটবর্তী পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস কিংবা কর্পোরেশন থেকে সমস্ত প্রকার লাইসেন্স পেয়ে যেতে পারেন। লাইসেন্সের জন্য আপনার খরচ হবে দুই থেকে তিন হাজার টাকা।
জুতোর ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ব্যবসার শুরুতে প্রচার করতে হবে। যে কোন ব্যবসা শুরুর পরে যদি প্রচার না করা হয় বা বিজ্ঞাপন না দেওয়া হয় তাহলে সেই ব্যবসার উন্নতি ভীষণ ধীরে ধীরে হয়। জুতার ব্যবসা করতে হলে আপনাকে যে পদ্ধতিতে প্রচার করতে হবে সেগুলি হল-
এছাড়াও আপনি চাইলে এক একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট খুলে সেখানে আপনি আপনার দোকানের প্রত্যেকটা পণ্যর প্রতিদিন পোস্ট করতে পারেন এতে আপনার দোকান সম্পর্কিত মানুষের ধারণা বাড়বে এবং প্রচারক খুব সুন্দর ভাবে হবে।
জুতার ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে জুতা গুলিকে বিক্রি করতে হবে তার জন্য সুন্দর করে মার্কেটিং টা আপনাকে শিখতে হবে। জুতার মার্কেটিং করতে হলে প্রতিটা জুতোর উপরে ধরাধরি না করে নির্দিষ্ট কিছু দাম রেখে সেই জুতো গুলিকে বিক্রি করতে হবে। কাস্টমার যখন আপনার দোকানে এসে জুতো দামাদামি করে কিনবে তখন আপনি আপনার লাভের থেকে একটু বেশি দাম বলে আবার দাম টা কমিয়ে লাভের মত দাম রেখে বিক্রি করে দেবেন। তবে শহরাঞ্চলে জুতার ব্যবসা করলে প্রতিটা জুতোর ফিক্সট দাম থাকে, ফলে কাস্টমার বেশি দামাদামি করে না।
তবে গ্রামাঞ্চলের দিকে ব্যবসা করতে হলে জুতোর দাম একটু বেশি করে রাখা উচিত কারন প্রতিটা কাস্টমার ধরাধরি করে জুতো কেনেন। আবার আপনি যদি মানুষকে বাকি অন্য ব্যবসায়ীদের থেকে অল্প রেটে জুতো বিক্রি করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই কাস্টমার আপনার দোকান থেকে প্রতিটা বাড়ি জুতো কিনে নিয়ে যাবে। এছাড়াও আপনাকে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জুতো এবং নন ব্যান্ডেড কোম্পানির জুতোর দাম যেন কিছুটা তফাত হয় এই জিনিসটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
জুতার ব্যবসা করার সময় অবশ্যই আপনাকে আপনার দোকানে একাধিক কর্মী কে নিয়োগ করতে হবে আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী। অর্থাৎ আপনার যদি ব্যবসা অনেক বড় হয় এবং বড় দোকান করে ব্যবসা করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে একাধিক কর্মী কে নিয়োগ করতে হবে। প্রতিটা কর্মচারীকে নিয়োগের আগে জুতা সম্পর্কে তাদের সাধারণ জ্ঞান আছে কিনা সেটা জেনেই নিয়োগ করতে হবে।
প্রতিটা কর্মচারী যাতে আপনার দোকানে আসা প্রতিটি কাস্টমারকে সুন্দরভাবে জুতো বিক্রি করতে পারে এই জিনিসটার ওপর আপনাকে বিশেষ করে নজর রাখতে হবে। প্রতিটি জুতোর গায়ে দামের স্টিকার লাগানো থাকা সত্বেও যদি কোন কর্মচারী সেই জুতার সঠিক দাম না নিয়ে বেশি দামে কাস্টমারকে বিক্রি করতে চায়, তাহলে তার প্রতিরোধ করতে হবে। যদি আপনার দোকান ছোট হয় এবং ব্যবসা ও ছোট হয়ে থাকে তাহলে আপনি বিনা কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
আমরা সবাই জানি জুতা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী, তাই প্রতিটা মানুষ জুতা ছাড়া এক পাও হাঁটেন না। দিনে দিনে আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষেরাও অনেক বেশি উন্নত এবং শিক্ষিত হয়ে যাওয়ার কারণে প্রত্যেককেই জুতোর ব্যবহার করে থাকে। তাই জুতার বিক্রিও হয় প্রচুর পরিমাণে প্রতিটি দোকানে। তাই আপনি যদি জুতার ব্যবসা শুরু করেন অবশ্যই আপনার এই ব্যবসা থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
প্রতিটা ব্যান্ডের জুতো বিক্রি করে আপনি কমপক্ষে 30% থেকে 35% লাভ করতে পারেন। নন ব্যান্ডেড কোম্পানির জুতা বিক্রি করে আপনার লাভ হবে 30% থেকে 40% এর মতো। এক কথায় বলা যেতে পারে এই জুতার ব্যবসা করে প্রতিটি ছোট ব্যবসায়ীদের মাসিক আয় 30 হাজার টাকা থেকে 50 হাজার টাকার মতো। বড় ব্যবসায়ীদের মাসিক আয় 1.5 লক্ষ টাকা থেকে 2 লক্ষ টাকার মতো।
জুতার ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু সর্তকতা অবলম্বন করে ব্যবসা করতে হবে। কারণ আপনি যখন নতুন করে ব্যবসা শুরু করবেন তখন অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন আপনাকে শুরুতে হতে হবে। তাই সেই সকল সমস্যাকে সমাধান করে আপনার ব্যবসাকে ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য যে সকল সতর্কতাঃ আপনাকে মেনে চলতে হবে সেগুলি হল-
জুতার পাইকারি বাজার কোথায় আছে ?
কম দামে জুতো কিনতে হলে অবশ্যই জুতার পাইকারি মার্কেটে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি যে শহরে বাস করেন সেই শহরের কাছাকাছি জুতার পাইকারি মার্কেট অবশ্যই থাকবে। যদি আপনি কলকাতায় থেকে থাকেন তাহলে কলকাতার বড় বাজারে সবচেয়ে বড় জুতার পাইকারি মার্কেট রয়েছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ইকর্মাস ব্যবসায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যেমন চাইলেও সব ধরনের অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায় ঠিক তেমনি এখন পাইকারি ও কিনতে পাওয়া যায় । ঠিক এমনি একটি অনলাইন ভিত্তিক পাইকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ওয়াকন বাংলাদেশ । উপরে যত গুল্য পাইকারি পণ্যের ব্যবসায়ের ধারণা দেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশ পণ্যই আপনি ওয়াকন থেকে কিনতে পারেন তাও আবার উৎপাদনকারী থেকে একদম সরাসরি । এখানে ওয়াকন পণ্যের দামে হস্তক্ষেপ করে না। প্রায় কয়েক হাজার কাস্টমারের সাথে সুনামের সাথে ব্যবসায় করে যাচ্ছে ওয়াকন